ভোলা প্রতিবেদক ॥ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। আউশ ধান চাষাবাদে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে এ বছর ভোলা জেলায় বেশি জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরের মত এ বছরও বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে আউশ ধানের আবাদ করেছেন চাষিরা। কয়েক দফা বৃষ্টি ও বন্যাসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ হলেও ফলন ভালো হওয়ায় অনেক খুশি তারা। ক্ষেতের ধান পেকে যাওয়ায় কারো বসে থাকার সময় নেই। চারদিকে ফসল কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ে গেছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। পাকা ধান ঘরে তুলতে শুরুও করেছেন চাষিরা। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আরো বেশি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বাজার দামও ভালো পাবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলায় এ বছর ৯৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর, দৌলতখানে ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ৯ হাজার ২০০, তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮০০, লালমোহনে ১২ হাজার ৮২৬, চরফ্যাশনে ৩১ হাজার ৫৮ হেক্টর ও মনপুরা উপজেলায় ২ হাজার ৩০১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। ২২ হাজার ২০০ কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রণোদনা পেয়ে চাষিরা অনেক বেশি উৎসাহ নিয়ে আউশ ধানের আবাদ করেছেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরলাল মধু জানান, এ বছর আউশের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশে হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাতের ১.৯ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। ধান থেকে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫১১ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
Leave a Reply